1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

১১ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আদেশ পেলো পোশাক খাত

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০
  • ১৭৭ Time View
১১ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আদেশ পেলো পোশাক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারির কারণে গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই— এই চার মাসে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ স্থগিত হয়েছিল প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের। এই ৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার বা স্থগিত আদেশের ৮০ শতাংশ ফিরে পাচ্ছেন বাংলাদেশের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়া করোনার মধ্যেও বহাল ছিল প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার। ফলে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও (এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই) প্রায় সাড়ে ১০ বিলিয়ন থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের রফতানি অর্ডার পেয়েছেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মালিকেরা। তবে স্থগিত হওয়া অন্তত দেড় বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্ডারের আশা ছেড়েই দিতে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে সেই তুলনায় নতুন ক্রয়াদেশ কম আসায় কিছুটা হতাশাও রয়েছে। অবশ্য যে হারে ক্রয়াদেশ আসছে, সেটিকে মন্দের ভালো বলছেন পোশাক শিল্পের মালিকরা।

পোশাক খাতের সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার মধ্যেও বাতিল হওয়া ও স্থগিতাদেশ হওয়া সেই পণ্য নিতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রেতারা। পাশাপাশি নতুন করে আসছে ক্রয়াদেশও। এরইমধ্যে কিছু কারখানায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করার মতো ক্রয়াদেশ চলে এসেছে। ফলে করোনাভাইরাসের শুরুর দিকে বিপর্যস্ত রফতানি আয়ের শীর্ষ এই খাতটি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সাধারণ ছুটির মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় বড় কারখানাগুলো টিকে থাকার মতো ক্রয়াদেশ ফিরে পেয়েছে।’ তবে ছোট ও মাঝারি কারখানা সেভাবে অর্ডার পাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।

বিজিএমইএ’র মুখপাত্র কামরুল আলমও মনে করেন, স্থগিত আদেশ ফিরে এলেও রফতানিতে সংকট থাকছেই। কারণ, একদিকে স্থগিত হওয়া অর্ডারের অন্তত ২০ শতাংশ রফতানি হবে না। অন্যদিকে নতুন অর্ডার আসছে না। তিনি উল্লেখ করেন, নভেম্বরের আগে কোনও আশাও করা যাচ্ছে না। ফলে আগামী চার মাস (জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) রফতানি হয়তো ২০ শতাংশ কমে যাবে।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই— এই চার মাসে ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে এখন ৮০ শতাংশ বা সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ফিরে এসেছে।

গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশ ফিরে আসায় করোনা পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে তাদের সাহস জোগাচ্ছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বড় কয়েকটি ব্র্যান্ড স্থগিত ও বাতিল করা ক্রয়াদেশের পণ্য আবারও নিতে শুরু করায় পোশাক রফতানি গত জুনে বেশ খানিকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

স্থগিত আদেশ ফেরত আসার ক্ষেত্রে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বড় ভূমিকা পালন করেছে। ঢালাও ক্রয়াদেশ বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় সংগঠনটি। গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বিজিএমইএ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৪১টি ব্র্যান্ডকে চিঠি পাঠিয়ে ক্রয়াদেশ স্থগিত কিংবা বাতিল না করতে অনুরোধ জানায়। এ বিষয়ে ড. রুবানা হক বলেন, ‘স্থগিত হওয়া আদেশ ফেরত আসার ক্ষেত্রে আমাদের নানামুখী উদ্যোগ ছিল। তবে ক্রেতারা অর্থ পরিশোধে বিলম্ব করছে। অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে তারা শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন।’ এ পরিস্থিতিকে তিনি মন্দের ভালো বলছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..